চুমু নিয়ে নতুন গবেষণা
চুমু নিয়ে প্রকাশিত নতুন গবেষণা থেকে জানা যায়, সুনির্দিষ্ট হরমোনের কারণে মানুষ চুমু খায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুমু অনেক সম্পর্ককে আরো গভীর করে আবার একদমই ভেঙেও দেয়। চুমু থেকে একজন মানুষ অন্য একজনের রুচি, তার শরীরের গন্ধ, এমনকি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে। যৌনমিলনের আগে নারীর কাছে চুমুর গুরুত্ব পুরুষের চেয়ে বেশি। গবেষণার এ তথ্যগুলো প্রকাশিত হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে।
চুমু খাওয়ার বৈজ্ঞানিক নাম ফিলেমাটোলজি । গবেষকরা এখন কেন মানুষ চুমু খায়, তার কার্যকারণ নিয়ে গবেষণা করছেন। তবে চুমু নিয়ে এটিই প্রথম গবেষণা নয়। অতীতের গবেষণাগুলো থেকে জানা যায়, বিশ্বের সব দেশের সব সংস্কৃতিতে চুমু খাওয়ার রেওয়াজ আছে। রোমান্টিক সম্পর্ক আছেÑ এমন ব্যক্তিরা একে অন্যকে চুমু খান। এর পেছনে জৈবিক কারণটি এখন বেশি করে খোঁজা হচ্ছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার শিকাগো শহরে আমেরিকান অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স একাডেমির বার্ষিক সভায় চুমু খাওয়ার বৈজ্ঞানিক কারণগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। দুনিয়ার অনেক নামকরা বিজ্ঞানী ও গবেষক এতে অংশ নেন।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ গর্ডন গালফ জুনিয়র তার এক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলেন, পরস্পরকে পছন্দ করে প্রেমে জড়িয়েছেনÑ এমন ৫৯ শতাংশ পুরুষ ও ৬৬ শতাংশ নারী প্রথম চুমুর পর তাদের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। ১ হাজার কলেজ পড়–য়া ছেলেমেয়ের ওপর পরিচালিত এক জরিপ থেকে আরো জানা গেছে, নারীরা যৌনমিলনের আগে চুমু খেতে বেশি পছন্দ করেন।
অন্যদিকে সভাতে নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক ওয়েন্ডি হিল জানিয়েছেন, অক্সিটোসিন (ড়ীুঃড়পরহ) নামের একটি হরমোন মানুষকে চুমু খেতে আগ্রহী করে তোলে কিংবা বলা চলে প্ররোচিত করে। তাই কেউ কেউ এ হরমোনকে ‘লাভ হরমোন’ বা ভালোবাসার হরমোন বলেন। মানুষের মধ্যে যে সামাজিক বন্ধনের আকাক্সক্ষা ও মানসিক চাপ তৈরির ঘটনা ঘটে, তার পেছনেও এ হরমোনের ভূমিকা রয়েছে।
ওই দিনের সভায় চুমু নিয়ে আরো অনেক মজার আলোচনাও হয়েছে। সেসঙ্গে চুমুর উৎপত্তি নিয়েও কথা হয়েছে। একজন গবেষক জানিয়েছেন, সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা থেকে চুমুর উৎপত্তি। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, আগেকার দিনে যখন কৌটাভর্তি শিশুখাদ্য ছিল না কিংবা খাবার শিশুদের উপযোগী করার কৌশল মানুষ জানতো না। তখন মা খাবার চিবিয়ে শিশুর উপযোগী করে সেটি চুমুর মাধ্যমে নিজের মুখ থেকে সরাসরি শিশুর মুখে দিয়ে দিতেন। সেখান থেকেই মানুষ ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে থাকে আর এখন প্রিয় মানুষের মুখে মুখ লাগিয়ে চুমু খায়।
0 comments:
Post a Comment