Saturday, June 1, 2019

ইয়াহিয়া হাক্কির গল্প "গণক পাথর " (একটি আরবি গল্পের অনুবাদ)


ইয়াহিয়া হাক্কি (১৯০৫-১৯৯৩)

কায়রোর এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম হয় মিশরের এই ছোট গল্পাকার ও সাহিত্য ব্যক্তিত্বের। কায়রো স্কুল অব ল থেকে বৃত্তি পেয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন ১৯২৬এ। এর পর পরই তিনি মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বেশ কিছু দেশে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করে কুটনীতিতে দীর্ঘ দিনের সফল ক্যারিয়ারের সূচনা করেন। নিজ ভাষা ছাড়াও ইংলিশ, ফ্রেঞ্চ, ইটালিয়ান এবং তুর্কী ভাষায় বিশেষ পারদর্শী এই লেখক ১৯২৩ সাল হতে ছোট গল্প লিখতে শুরু করেন। সারা মিশর জুড়ে তাঁকে ছোট গল্পের জনক বলেই গন্য করা হয়। কিন- ১৯৪৪এ ছোট গল্প “দ্যা ল্যাম্প অব উম হাসিম” ছাপা হবার আগ পর্যন- তাঁর তেমন একটা পরিচিতি ছিলোনা। এই গল্পে পূর্ব পশ্চিম সংস্কৃতি তাদের একে ওপরের ওপর কি ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তাই ফুঁটে উঠেছে। ১৯৭৩ এ “দ্যা সেইন্ট’স ল্যাম্প এন্ড আদার স্টোরিজ” শিরোনামে এমএম বাদাওয়ে গল্পগুলোর ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেন। ১৯৫৫তে “দ্যা পোস্ট ম্যান” ছাপা হবার বছরে তিনি কায়রো ফাইন আটস্‌ বিভাগের পরিচালকের দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেন। এর পর জাতীয় গ্রন'াগারের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এন্টার এন্ড জুলেটি (১৯৬১); এ স্যুটকেস ইন দ্যা হ্যান্ড অব আ ট্রভেলার (১৯৬৯); দ্যা এম্পটি বেড এন্ড আদার স্টোরিজ; পিপল ইন দ্যা স্যাডো (১৯৭১); এবং ব্লাড এন্ড মাড তাঁর গল্প গুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৯এ তাঁর তিনটি উপন্যাস অনুবাদ করেন পেইরি ক্যসিয়া। এর আগে ১৯৮৭ সালে গুড মনিং এন্ড আদার স্টেরিজ নামে গল্প গ্রনে'র অনুবাদ করেন মিরিয়াম কুকি। লেখক জিবনের সমস- সময় জুড়েই হাক্কি নিজের পরিচয়ে পরিচিত হবার এক গভীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন নিজের যাবতীয় লেখার মাধ্যদিয়ে। তবে তিনি অনেক বেশী পরিমানের লেখা উপহার দিয়ে যাননি পাঠককে। তার পরেও মিশরের কল্প কাহিনিকারদের মধ্যে এক প্রবাদ পুরুষ হিসেবে গন্য করা হয় তাঁকে। ১৯৭৫ সালে মিশরের সাহিত্য সমাজ তাঁর লেখক জিবনের রজত জয়ন-ী উদযাপন করেন।



গনক পাথর

ভাগ্য বলে দেওয়া যায় এমন কথা আমি একদমই বিশ্বাস করিনা। এমন কি আমি ভাগ্যেই বিশ্বাস করিনা। আমি একদমই বুঝতে পারিনা কেন অযথা লোকে এর পেছনে তাদের সময় ব্যয় করে আর এসব গাঁজা খুরি গল্পে বিশ্বাস করে। বালির ওপরকার বলি রেখা দেখে ভাগ্য বলতে পারে এমন লোকেরা বেশীরভাগ সময়ই নিজের ইচ্ছে মত বালির ওপর যাচ্ছে তাই আঁকিবুকি করে, আর আন্দাজে কারো ভাগ্যের শুভাশুভ আওড়াতে থাকে। সেই সঙ্গে অযথাই এমন দাবি করে যেন এর সবই সে একদম চোখের সামনে স্পস্ট দখেতে পাচ্ছে। 



এর পরই আসে তাসের কথা। টেক্কা উঠলে চিঠি আসবে, তিন উঠলে ভ্রমন, আর চার উঠলেই বাড়ি ? বিশেষ কোন কার্ড উঠলে ভাগ্যে এই এই ঘটবে এমন কথা কে বলে দিয়েছে তাদের ? আর বার বার তাদের এই কার্ডের মানেও বদলে যায় কি করে সেটাই এখনো পর্যন- বুঝে উঠতে পারিনি। যেমন ধরুন কোন এক গনক বল্লো সত্বর তার চিঠি পাবেন। তার মানে এবার দূরে কোথাও ভ্রমনের সুযোগ আসছে আপনার। অথবা যখনই সে আপনাকে অভিনন্দনের সুরে বলবে শীঘ্রই হাতে মোটা অঙ্কের টাকা আসতে যাচ্ছে তখন বুঝে নিবেন সে আসলে আপনার দেউলিয়া হয়ে যাবার ভবিষ্যতবাণী করছে ? তাসের অঙ্কের সঙ্গে মানুষের জিবনের এই সংযোগ আমার মাথায় একদমই ঢুকতে চায়না।



এবং তার চাইতে খারাপ হলো কফি কাপের বিষয়টি। কি করে কারো ভবিতব্য, ভুত-ভবিষ্যত বিশেষ ধরনের কফি এবং কাপের পুরুত্বের সঙ্গে জুড়ে থাকতে পারে ? কোন এক গনক একবার আমাকে বলেছিলো সে তার কাপে ভয়ঙ্কর কাঁপুনি টের পাচ্ছে। “এতে আমি মোটেই অবাক নই” সে বল্লো। “আজকে যে কফি আমি পান করছি তা কঙ্গো থেকে আনানো।” সামনে বসা সুদানি সেই মহিলার সব কথাই আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছিলো। তার সামনাসামনি নিচু এক খড়ের কেদারার ওপর আরাম করে বসে ছিলাম আমি। পাসেই বয়ে যাওয়া ঝর্ণার যাদুকরি আবহের মধ্যে সে তার পাথর গুলো ছড়িয়ে চেহারায় ভারি কোন চিন'কের ভাব টেনে বসে ছিলো। বছরের সব শনিবার গুলোতে আমি তার কাছে যেতাম। আর বলতে গেলে কোন শুক্রবারেই সে তার পাথর ছড়িয়ে এভাবে বসতো না। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই আমি জেনেছি সপ্তাহের প্রথম কয়েক দিন পাথর গুলো ভরপুর জিবন- থাকে ও হুবহু সত্য বলতে পারে। এসময় এগুলোর কথায় কোন ছলাকলা থাকেনা আর পেছনের ব্যপার নিয়েও খুব একটা ঘাটাঘাটি করেনা। কিন' সপ্তাহের শেষের দিকে কেমন যেন একটা এঘেয়ে বিরক্তিকর সুর কানে ঠেকে। তখন যে কেউ বুঝতে পারবে সবাইকে নানান কথা বলতে বলতে আর লোক জনের কথা শুনতে শুনতে শব্দে যেন ঘারতি পরছে। সামনে দাড়ানো সাবাইকেই এরা লোভি আর অর্থকাতর হিসেবে ভাবে, যেন এদের সবাই পরিশ্রম করে আয়করেনি এমন অর্থ বাগিয়ে নিতে উন্মুখ হয়ে আছে। অথবা আসন্ন কোন কল্পিত সর্বনাসের আতঙ্কে ভয়কাতর কাপুরুষের মতো মনে হচ্ছে, অথবা মনে করছে কুচক্রী কোন মহিলা যার পরিচিত ও প্রতিবেশীদের প্রতি ঘোষিত সব ধরনের বন্ধুত্বই আসলে তিক্ততা ও স'ায়ী ঘৃনায় ভরা, যেকিনা আসলে মন খুলে তার চক্রানে-র সাফল্যের ব্যপারে জানতে এসেছে।



এমন সময় সেই বৃদ্ধা মহিলা আমাকে বল্লো: 

“একটা লোক আর এক মেয়েলোক,” সে বলতে লাগলো “সুখে শানি-তে এক সাথে বসবাস করছিলো। কিন' তাদের কাছাকাছি থাকে এমন লম্বা, কালো ভুতুরে চেহারার এক মহিলা একবার এলো তাদের সেই সুখ নষ্ট করতে। সে এসে তাদের বল্লো আমি স্পস্ট দেখতে পাচ্ছি শীঘ্রই তোমরা সরকারের চিঠি পাবে, ঘরে নতুন নতুন সব আসবাব আসবে।”



আমি সেই লম্বা কালো মহিলাকে চিনতাম-তার নাম উম্ম মাহমুদ, মোটাসোটা দুষ্টবুদ্ধির ধাড়ি চড়ম এক দালাল। সে শুধু আমার স্ত্রীকে ঋণের মাঝেই ফেলেনি একই সঙ্গে তার মাথাও পুরোটা খেয়ে নিয়েছে মনে হয়, প্রায়ই সে শয়তানিটার সঙ্গে এখানে সেখানে যাচ্ছে আমাকে কিছু না যানিয়ে। এ নিয়ে সন্দেহ হবার পরই আমি বউকে চড়ম সতর্ক করে দিয়ে বলেছি যাতে বেটির পা এ বাড়িতে আর কখনই না পরে। তার পর পরই আবার ঋণ সুধতে হাত ঘড়ি আর চেইনটা খোয়াতে হলো।



সেই চিঠির কি হলো, যেটা সরকারের কাছ থেকে আসবে বলে আমি ভেবে ছিলাম ? যে চাকুরিটা পাবার জন্য আমি ডজন ডজন জুতো ক্ষয় করেছি, চিঠিতে কি তাতে নিয়োগের কথাই থাকছে ? আমি ভেবে ছিলাম এতে বড় জোড় দু’দিন কি তিন দিন সময় নিবে, মোটেই মাস বা বছর নয়। খোদাই জানেন কবে আসবে সেই চিঠি ! 



নতুন আসবাবের বেলায়ও সেই পাথরটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আমার মনের গভিরে লুকিয়ে থাকা না বলা মোক্ষম কথাটিই বলেছে: সেদিনের অনেক আগেই আমি মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম চাকরিটা পাওয়ার মাসখানেকের মধ্যেই নতুন একটা মাদুর আর বিছানা কিনবো।



পাথরটা আমার মনের সব ভয়-ভীতি আর শঙ্কা একদম দূর করে দিল, আগের চাইতে আমি অনেক বেশী এগুলোর উপর ভরসা করতে লাগলাম। শুধু ভাবতে লাগলাম যে সব হাদারামেরা কফি কাপ, তাস বা বালির বলিরেখা দেখে ভাগ্য গননায় বিশ্বাস করে তারা অনায়াসেই তাদের সেই বোকামি ফেলে রেখে গনক পাথরে বিশ্বাস স'াপন করতে পারে ! বুড়ির হাতের ওপর যখন পাথর গুলো কথার জবাবে একদম জিবন- হয়ে কাঁপতে শুরু করে তখন একেই বিশ্বাসের সবচাইতে বড় চিহ্ন বলে মেনে নিতে অত্যুক্তি হয়না ? আপনার সামনেই দুজন নাড়ি পুরুষকে এক সঙ্গে দেখলেন, তার পর তারা আলাদা হয়ে গেলো, ধরুন একলোক যে সুন্দরি নাড়িটাকে ফুসলিয়েছে তাকেই আবার ফুসলিয়ে গেলো এক কালো কদাকার বুড়ি। এই টুকুর মধ্যেইকি জিবনের সব সমস্যা এসে জট পাকিয়ে জায়নি ? সবুজ রঙ্গের এই মনি-মাণিক্যর ভেতরে বুনো স্বপ্নের হাতছানিতে তার সব সম্পদ কি উজার করে দেয়নি ? গনক পাথরের কথা কখনই বিফলে যায়না, কিন' এর সঙ্গে কথা বলতে হলেই গুনে গুনে পুরো বিশ কুরদাস খরচ করতে হয়। তবে পথের ধুলায় তা কুড়িয়ে পেলে হবেনা। কারন ভবিষ্যত বক্তাতো সেটা বুঝেই ফেলবেন আপনি কি কুড়িয়ে পেয়েছেন; তবে বুঝে ফেল্লেই বা ক্ষতি কি, আসলে পাথরের গুনে আপনি যে আর কতকিছুর মালিক বনে যেতে পারেন সেটাই সবার আগে আপনাকে গুনায় ধরা উচিত। 





বাড়ি ফেরার পর বউ এগিয়ে এসে আমাকে জামা জুতো খুলতে সাহায্য করতে লাগলো। গনকের কথা মনে পরতেই আমি বউকে শান- ও ধীর গলায় বলতে লাগলাম, তোমাকে আমি বলিনি “যে উম্ম মাহমুদ আর যেনো এখানে না আসে ?”

সঙ্গে সঙ্গে আমাকে অবাক করে দিয়ে ঝাঁকুনি খেয়ে ওর পুরো মুখ একদম সাদাটে হয়ে গেলো। এর পর পরই ও সিড়িঁর মুখের দড়জা খানা খুলে হুট করে বেরিয়ে গেলো, আর নিচের তলার প্রতিবেশীকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো।

“কিরে, আসমা,” আরো গলা চড়িয়ে। “তোর ওই পোড়া মুখটাকে কখনইকি তুই বন্ধ রাখতে পারিস না মুখপুড়ি ? ইশ্‌রে ? তুইকি সারা দিন আমার ঘরের দুয়ার পাহারা দিস, নাকি অন্য কোন মতলব আছে, শুনি ?”

তার পর সে এমন সব বাজে আর বিষাক্ত কথা বলতে শুরু করে যে আমারো পিলে চমকে যাবার যোগার হলো। এমন করেই সেই ভবিষ্যতবাণীর প্রথম অংশটা পুরোপুরি এক সময় ফলে গেলো।

তাই আমি ভাবছি, দ্বিতীয় অংশটাকেই বা কেন সত্য হতে দেইনা, তার পর পরই সরকারের কাছ থেকে সেই চিঠি আসলো যার জন্য আমি অনেক দিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম।



সোমবারে এক ছোট্ট ছেলে এসে হাজির।

“সিড়িঁর গোড়ায় এক লোক দাড়িয়ে আছে,” ও বল্লো “সুন্দর কাপড়-চাপড় পরা এক লোক আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাইছে।” 

আমি সিড়িঁ ভেঙ্গে নিচে নেমে এলাম, আর সেখানে এক বান্ডেল কাগজ বগলদাবা করে এক জন অপরিচিত লোক দাড়িয়ে ছিলেন। এবং তার হতে ছিলো আবলুস কাঠের একটি কলম, যা দিয়ে কেবল আরবির চাইতেও জটিল কোন হায়রোগ্লাফিকস ধরনের লেখা লিখা সম্ভব। আমার বুক ধরফর করতে লাগলো।

“কি চাই আমার কাছে ?” আমি জিজ্ঞেস করলাম।

“আমি পরোয়ানা নিয়ে এসেছি” লোকটি বল্লো। “আপনিকি এখানে আপনার সাক্ষর বা টিপসই দিবেন ?”

“এটা কি ?” 

“জন সমক্ষে হেয় করায় আপনি এবং আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে সিট্ট আসমার দায়ের করা আইনি অভিযোগ। আসছে মঙ্গলবার কেসটা আদালতে উঠছে।” 

এরপর যতই আমি সিড়িঁ বেয়ে উপরে উঠছিলাম, দুর্দৈব যেন আমাকে পুরো শক্তি দিয়ে গ্রাস করতে চাইছিলো। এর থেকে বাঁচার জন্য ভেতরে ঢুকে আমি আগুন দেখার জন্যেও প্রস-ত ছিলাম।

“ভালো!” আমি বল্লাম। “এখন তোমার শানি- লাগছেতো ?” এর পর দেখতে দখেতে দু’দিন গেলো। ঝগড়াটা হয়েছিলো হুবহু তারো দু’দিন আগে, পাথরতো দেখছি একদমই সত্য কথা বলেছে, কিন' এতো সেই সত্য নয় যা আমি চোখের সামনে দেখতে চাইছিলাম !

পরের দিন সকালে প্রতিবেশীর সঙ্গে আমার বউয়ের আবার ঝগড়া হলো। 

এত সব দেখে রক্ত আমার টগবগিয়ে উঠলো।

“প্রতি দু’দিন পর পর কি তুমি আমাকে নতুন নতুন মামলা-মোকদ্দমার মধ্যে ফেলতে চাও নাকি ?” আমি বল্লাম।

“তোমার আর ক্ষেপার দরকার নেই প্রিয়।” ও ফোঁস করে জবাবে বলে উঠলো। “এখনি আমি বাপের বাড়ি চলে যাচ্ছি।”

রেগেমেগে শেষমেস ও চলে গেলো, আর আমি একা পরে রইলাম। পঞ্চাশ পেইসটারসের মতো খরচ হতে পারে এমন মোটা অঙ্কের মার্কদমা থেকে আমি বাঁচতে চাচ্ছিলাম, এর বদলে আমি জেল, জরিমানা এমনকি স্ত্রীর খোরপোষ দেবার জন্যও প্রস-ত ছিলাম।

এরই মধ্যে হঠাৎ এক ফাঁকে আমি বাড়ির বাইরে যাই, এমন সময় আমার স্ত্রীর কয়েক জন আত্নীয় স্বজন সহ দু’জন পুলিশ ও চারজন মুটে এসে ঘরের সব আসবাবপত্র নিয়ে চলেযায়।

ফিরে আসার পর ঘরের চার পাসে রংচটা চার দেওয়াল ছাড়া আর কিছুই আমার চোখে পরেনি। এমন কি খাবার জল রাখার কলসিটা পর্যন- তারা সাথে করে নিয়ে গেছে।

আমি বোবার মত দাড়িয়ে রইলাম। 

“একেই কি পাথরটা আমার নতুন আসবাব বলে বুঝিয়ে ছিলো ?” বসে বসে এই একটি কথাই শুধু ভাবছি এখন।



অনুবাদ: সোহরাব সুমন

উৎস :http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/lights007/29246885

0 comments:

Post a Comment