পর্দায় কমে ঘুম!
গরাদে বা জানালায় ঝুলানো পর্দার কথা বলা হচ্ছে না, বলা হচ্ছে টিভি মনিটর, কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের স্ক্রিন বা পর্দার কথা। এত দিন ধরে মা-বাবারা সন্দেহ করেছেন, কিন্তু এবার অকাট্য প্রমাণ পেয়েছেন ডাক্তাররা। তাঁদের ভাষ্য, কিশোর বয়সীরা যত বেশি সময় টিভি, মোবাইল বা কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকবে, ততই তার ঘুমের পরিমাণ কমতে থাকবে!
ইলেকট্রনিকস পণ্যের পর্দার এ ‘প্রমাণসাপেক্ষ’ ভয়াবহতা উন্মোচন করেছেন নরওয়ের বারগেন শহরে অবস্থিত রিজিওনাল সেন্টার ফর চাইল্ড হেলথের গবেষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ঘুম কমের এ মাত্রা আরো ভয়াবহ হবে যদি ঘুমানোর আগমুহূর্তেও ১৩ থেকে ১৯ বছরের ছেলেমেয়েরা মেতে থাকে ওই সব অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক পণ্য নিয়ে।
নরওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের হোর্দাল্যান্ড কাউন্টির ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়সী প্রায় ১০ হাজার ছেলেমেয়ের ওপর দুই বছর ধরে পরিচালিত এক গবেষণা শেষে গবেষকরা এ তথ্য উন্মোচন করেন। গবেষণার জন্য কিশোর বয়সী এ ছেলেমেয়েদের কাছে তাদের ঘুমের ধরন ও মাত্রা, স্কুলের সময় বাদে কত সময় তারা টিভি-কম্পিউটার-মোবাইলে কাজ করে, এর হিসাব এবং কী ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্যে তাদের আসক্তি, তা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। দেখা গেছে, যারা দিনে চার ঘণ্টার বেশি টিভি-কম্পিউটার অথবা মোবাইলের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকে, তাদের তিন-চতুর্থাংশই অন্যদের তুলনায় কম ঘুমায়। তাদের গড় ঘুমের পরিমাণ পাঁচ ঘণ্টারও কম। কম ঘুমানোর কারণে তাদের শারীরিক সুস্থতা এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও অন্যদের থেকে অনেক কম।
গবেষকরা এ জন্য এখন থেকেই ইলেকট্রনিক পণ্যের গায়ে ধূমপান সামগ্রীর মতো ‘সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি’ হিসেবে পর্দার এ ক্ষতিকর প্রভাব উল্লেখ করার দাবি তুলেছেন। সূত্র : এএফপি।
উৎস ঃ এখানে ক্লিক করুন ..
0 comments:
Post a Comment