Sunday, December 18, 2016

Saturday, December 17, 2016

Monday, November 14, 2016

ভুল থেকে শেখা



টমাস আলভা এডিসন গবেষণা করছেন, তিনি বৈদ্যুতিক বাতি উদ্ভাবন করার চেষ্টায় রত। বালবের ভেতরের তারটা কিসের হবে, তিনি সেটা নিয়ে মত্ত। একটার পর একটা ধাতু, যৌগ, সংকর দিয়ে তিনি ফিলামেন্ট বানাতে লাগলেন। দুই হাজার রকমের তার বানানো হলো। একটাও কাজে লাগল না। তাঁর সহকারী বলল, আমাদের এত দিনের চেষ্টা পুরোটাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে গেল। আমরা কিছুই শিখতে পারলাম না।
এডিসন বললেন, আমরা অনেক কিছু শিখেছি। শিখেছি যে দুই হাজার রকমের তার দিয়ে ভালো বৈদ্যুতিক বাতি হয় না। জীবন কী? একজন শিক্ষক তাঁর ক্লাসরুমে পড়াচ্ছেন। তিনি একটা খালি বয়াম টেবিলের ওপরে রাখলেন। তারপর তার ভেতরে ঢোকালেন কতগুলো বড় পাথরের টুকরা। বয়ামটা ভরে গেল। তিনি বললেন, ‘ছাত্ররা, দেখো তো, আর কোনো পাথরখণ্ড ঢুকবে কি না?’ ‘না, স্যার।’ ‘তাহলে বয়ামটা ভরে গেছে, কী বলো?’ ‘জি, স্যার।’ এবার শিক্ষক কতগুলো ছোট নুড়ি বয়ামটাতে ঢালতে লাগলেন। নুড়িগুলো পাথরের ফাঁকে ফাঁকে ঢুকে গেল। তিনি বললেন, ‘এবার ভরেছে। কী বলো?’ ‘জি, স্যার।’ তিনি এবার বালু ঢালতে লাগলেন। পাথর আর নুড়ির ফাঁকে ফাঁকে বালু ঢুকতে লাগল এবং বয়ামটাকে পূর্ণ করে তুলল। শিক্ষক বললেন, ‘আচ্ছা, এবার আমরা পুরো ব্যাপারটাকে উল্টো করে করি। প্রথমেই আমরা যদি বালু দিয়ে বয়ামটা পূর্ণ করে ফেলি, তাহলে কী হবে?’ তিনি বালু দিয়ে পাত্রটা পূর্ণ করলেন। তারপর আর নুড়ি কিংবা পাথর ঢোকানোর জায়গা রইল না। তিনি বললেন, ‘এ থেকে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস শিখব। এই যে পাত্রটা দেখছ, এটা হলো আমাদের জীবন। এই যে বড় বড় পাথরখণ্ড, এগুলো হলো আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আমাদের পরিবার, বাবা-মা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের শিক্ষা। আর নুড়িগুলো হলো আমাদের বিষয়সম্পত্তি, আমাদের গাড়ি-বাড়ি, আমাদের টেলিভিশন, আমাদের টেলিফোন, আমাদের বাগান। আর বালু হলো বাকি সবকিছু, আমাদের জীবনে আর যা যা করতে হয়। প্রথমেই যদি আমরা ছোট ছোট জিনিস দিয়ে জীবনটাকে ভরে ফেলি, তাহলে বড় কাজগুলো করা হবে না। কাজেই সব সময় পরিবারকে সময় দেবে, বাবা-মায়ের যত্ন নেবে, নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখবে, লেখাপড়া করবে। তারপর গাড়ি-বাড়ি, কম্পিউটার-টেলিফোন এসবের দিকে নজর দেবে।’

এক ছেলে দাঁড়িয়ে বলল, ‘স্যার, বয়ামটা এখনো ভরেনি। আপনি যদি এর মধ্যে পানি ঢালেন, পানি ভরবে।’
ঠিক তাই। তিনি পাথরখণ্ড, নুড়ি আর বালুভরা পাত্রটিতে এক কাপ কফি ঢাললেন। কফিটা পাত্রে ঢুকে গেল।
‘এই কফিটা হলো আনন্দ। মানুষের জন্য কিছু করা। সেবার ব্রত। তুমি যা-ই করো না কেন, জীবন আনন্দময়। মানুষের জন্য, মানবতার জন্য সর্বদাই কিছু না কিছু করার সময় তুমি বের করতে পারবে। মানুষের উপকারে আসতে পারবে। তাতেও তুমি অনেক আনন্দ পাবে। জীবনটাকে যত আঁটোসাঁটো মনে হোক না কেন, যতই তুমি ব্যস্ত থাকো না কেন, জীবনকে উপভোগ করো। আর যেন সবচেয়ে ভালোভাবে জীবনটাকে আনন্দপূর্ণ করে তোলা যায়, অপরের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে।’
আশা কোরো না, চেষ্টা করো
জন বিমানবন্দরে গেছে। তার এক বন্ধুকে অভ্যর্থনা জানাতে। বন্ধুর ফ্লাইট আসবে আরও খানিকক্ষণ পরে। জনকে অপেক্ষা করতে হবে। সে একটা চেয়ারে বসে অপেক্ষা করছে। এই সময় এক ভদ্রলোক দুটো ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে এলেন। তিনি এগিয়ে গেলেন, বোঝাই যাচ্ছে, তাঁর পরিবারের দিকে। তিনি প্রথমেই একটা চার-পাঁঁচ বছরের ছেলেকে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন, ‘বাবা, কেমন আছ?’
ছেলে বলল, ‘বাবা, আমরা তোমাকে খুব মিস করেছি।’
বাবা বললেন, ‘আমিও খুব মিস করেছি তোমাদের।’
এরপর তিনি বছর দশেকের একটা ছেলেকে জড়িয়ে ধরলেন। বাবা, তুমি কেমন আছ।
ভালো আছি বাবা। তুমি এসেছ, আরও ভালো থাকব।
এরপর তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলার কোলের বাচ্চাকে নিজের কোলে তুলে নিলেন। চুমু দিলেন অনেক কটা।
তারপর তিনি তাঁর স্ত্রীকে আলিঙ্গন করে বললেন, ‘শেষটা কিন্তু কম নয়। এইটাই আসল। আই লাভ ইউ।’
জন তাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে। ভদ্রলোকের সঙ্গে তার চোখাচোখি হলো। জন সলজ্জ ভঙ্গিতে বলল, ‘আপনাদের সুখী পরিবারটিকে দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি আশা করি, আমার পরিবারটাও এই রকম সুখের হবে।’
ভদ্রলোক হেসে বললেন, ‘আশা করলে হবে না, তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ডোন্ট হোপ, ডিসাইড।’
সুন্দর করে কথা বলো
এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি রোদ-ঝলমলে এক সকালে একটা সুন্দর ভবনের সিঁড়িতে বসে আছেন। তাঁর সামনে একটা কাগজে বড় বড় অক্ষরে লেখা, ‘আমি অন্ধ, আমাকে একটু সাহায্য করুন।’ মার্কেটিংয়ের একজন লোক সেই সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন। তিনি দেখলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিটির সামনের হ্যাটটায় মাত্র একটা আধুলি পড়েছে।
তিনি ভবনের কাজ সেরে ঘণ্টা দুয়েক পরে নামলেন। দেখলেন, ওই একটা আধুলিই পড়ে আছে টুপিতে। তিনি তখন কাগজের বোর্ডটা হাতে নিয়ে নিজের পকেট থেকে মার্কার কলম বের করে কাগজের উল্টো পিঠে লিখলেন, ‘আজকের দিনটা খুব সুন্দর। কিন্তু আমি তা দেখতে পারছি না।’
তিনি কাজে বেরিয়ে গেলেন। ঘণ্টা দুয়েক পরে ফিরে এসে দেখলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিটির টুপিটা টাকায় টাকায় ভরে গেছে।
collected from Anisul Hauque

পিঁপড়া এবং জাদুর পানির গল্প


গল্পটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না


এক কিশোর পিঁপড়ার খুব শখ যে সে আকাশে উড়ে বেড়াবে। সে তার ছোট্ট মাটির ঘর থেকে বের হয়ে একদিন অনেক দূরে ঘুরতে যাবে।
 অনেক সুখ আর আনন্দের মাঝে সে স্বপ্নের পাখা মেলে ঘুরবে। সে তার বাবা মাকে এই স্বপ্নের কথা বলে। বাবা মা তাকে বুঝায় যে- বাইরের পরিবেশ ভাল না। আকাশে অনেক ভয়ঙ্কর প্রাণী থাকে যা তোমাকে আঘাত করবে। আলোর কাছে গেলে তোমার মৃত্যু হবে। এত কথা শুনার পরেও কিশোর পিঁপড়া তার স্বপ্নকে ভুলতে পারেনা। সব সময় মাটির কাছে থাকতে তার ভালো লাগেনা। মাটির ময়লা রঙ আস্তে আস্তে তার অসহ্য লাগতে থাকে। একসময় সে জানতে পারে, পিপড়ারাও এক জাদুরপানি খেয়ে উড়তে পারে। কিন্তু যারা সেই পানি একবার খেয়ে উড়ে গেছে- তারা আর কখনই ফিরে আসেনি। তাই সেই জাদুরপানির কূপ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।কিশোর পিঁপড়া প্রতি রাতে সবার অজান্তে সেই জাদুরপানির কূপ আবার খনন করতে থাকে। রাতের চাঁদ তাকে মোহিত করে ফেলে। সে চাঁদের কাছে- আলোর কাছে যাওয়ার স্বপ্নকে আরও তীব্র ভাবে লালন করতে থাকে। একদিন তার পরিশ্রম শেষ হয়। একরাতে সে জাদুরপানির দেখা পায়। সাথে সাথে তা পান করে। এক আশ্চর্য পরিবর্তন আসে তার দেহের গঠনে। অবাক হয়ে লক্ষ্য করে তার দুই পাশে খুব সুন্দর দুটি পাখা গজিয়েছে। আকাশে উড়তে থাকে। অসম্ভব স্বপ্ন তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। সে আরও উপরে উঠতে থাকে। তার সারা শরীরে আনন্দের ঢেউ খেলেতে থাকে। অনেক উপর থেকে সে দূরে এক গ্রাম দেখতে পায়। সেখানে অনেক আলোর খেলা তার নজরে আসে। সে নেশাগ্রস্থের মত সেদিকে যেতে থাকে। পেছনে ফেলে যায় তার ছোট্ট মাটির ঘর। তার ভাই-বোন, যাদের সাথে সে প্রতিদিন খেলা করত। তার বাবা-মা , যারা তাকে অসম্ভব ভাবে ভালোবাসে।

দুরের গ্রামে এসে সে এক বাড়িতে প্রবেশ করে। সে দেখে যে, কিছু ছোট ছোট মানুষ এক আশ্চর্য আলোকে ঘিরে খেলা করছে- ঠিক যেমন সে তার ভাই- বোনদের সাথে দুষ্টুমির খেলা খেলত! একজন বড় মানুষ এসে তাদের খেলা থামিয়ে দিয়ে তাদের মুখে খাবার দিতে লাগলো- ঠিক তার মা যেমন তার মুখে খাবার তুলে দেয়। হঠাৎ করে তার মার কথা মনে আসে। মার কাছে ফিরে যাওয়ার আগে সে সেই আশ্চর্য আলোর কাছে যেতে সামনে আসতে থাকে। আলোর কাছে এসে সে বুঝতে পারে তার হালকা পাখা গলে গেছে । নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সে আলোর উৎস মোমের মত গলিত অংশের উপর পড়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে তার শরীরে ফোস্কা পড়ে গেল। এখন শুধু মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা।

সে বুঝতে পারল , তার মাটির ঘর কত নিরাপদ ছিল। সুখ আর আনন্দের জন্য সে যে জাদুরপানি খেয়েছে, সেই সুখ আর আনন্দের ভিতরেই সে এতদিন ডুবে ছিল। সে বুঝতে পারে, যে আনন্দের পিছনে সর্বদা ছুটে চলেছে, সেই আনন্দ তার হাতের নাগালেই ছিল। ভবিষ্যৎ সুখ আর আনন্দের পিছনে ছুটার প্রয়োজন নেই, বরং সুখ আর আনন্দকে বর্তমানের ভিতরেই খুঁজে নিতে হয়, যা সর্বদা কাছাকাছিই থাকে।

Sunday, November 13, 2016

(ছবি) বিশ্বের সেরা কিছু ভুতুড়ে জায়গা!




আপনি কী ভূতে বিশ্বাস করেন? কিংবা কখনও এমন হয়েছে যে কোনও অলৌকিক শক্তির উপস্থিতি আপনি অনুভব করলেও কাউকে সেই অভিজ্ঞতার কথা বলে বোঝাতে পারেন নি?
আমরা অনেকেই ভূতে বিশ্বাস করি বা না করি কখনও না কখনও জীবনে অলৌকিক কোনও শক্তির সাক্ষী হয়তো থেকেছি।
বিশ্বের এমন বহু জায়গা আছে যেখানে ভূতের আনাগোনা না থাকলেও ভৌতিক জায়গা বলেই পরিচিত জায়গাগুলি।

আইল্যাল্ড অফ ডল, মেক্সিকো মেক্সিকোর এই কৃত্রিম দ্বীপে জলে ডুবে মারা যায় এক ছোট্ট মেয়ে। ১৯৫০ সালে ওই নদীর ধারেই বসবাসের জন্য এক ব্যক্তি আসেন। তারপর থেকেই ওই ছোট্ট মেয়েটির আত্মা তাঁকে ধাওয়া করে বলে শোনা যায়। তাঁর আত্মাকে শান্ত করার জন্য প্রচুপ সংখ্যক পুতুল কিনে এই দ্বীপের বিভিন্ন গাছে ঝুলিয়ে দেন ওই ব্যক্তি।

পুরানো চাঙ্গি হাসপাতাল, সিঙ্গাপুর ১৯৩৫ সালে এই হাসপাতালটি তৈরি হয়েছিল। পরে জাপানিরা এই হাসপাতালটি অধিগ্রহণ করে। যুদ্ধবন্দীদের জন্য এই হাসপাতালে একটি গোপন ঘর রাখা হয়েছিল, যেখানে তাদের উপর অত্যাচার চালানো হত। ১৯৯৭ সালে এই হাসপাতালকে নয়া চেঙ্গি হাসপাতালে পরিণত করা হয়। কিন্তু পীড়িতদের আত্মা এখনও শান্তি পায়নি। এখনও হাসপাতালে মানুষের চিৎকারের শব্দ, দরজায় মাথা ঠোকার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।

ভানগড় দূর্গ, রাজস্থান ভানগড়ের রাজকন্যার মন জয় করতে না পারায় মৃত্যুর আগে এক নির্মম তান্ত্রিক গোটা গ্রামকে অভিশপ্ত করে গিয়েছিল। অভিশাপ দিয়েছিল এই গ্রাম ধ্বংস হয়ে যাবে। এই গ্রামের মানুষ কখনও শান্তিতে থাকতে পারবে না। এরপরই এই ভানগড় দূর্গে মুঘলরা আক্রমণ করে। রাজকন্যা সহ প্রায় ১০,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়। মানুষের ধারণা তান্ত্রিকের অভিশাপের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছিল। আর তার পর থেকেই এই দূর্গে অলৌকিক শক্তির আনাগোনা রয়েছে বলেই ধারণা মানুষের। এই অলৌকিক আত্মা তান্ত্রিক ও রাজকন্যার বলেই মনে করা হয়। এই ভয়ের ফলে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে অতীতে। বলা হয়, ওই তান্ত্রিক জোর করে রাজকন্যার আত্মাকে বন্দী করে রেখেছে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞপ্তি লাগানো রয়েছে দূর্গের বাইরে। যাতে অন্ধকারের পর কেউ দুর্গের কাছাকাছিও না থাকে।  

সেন্ট অগাস্টিন লাইট হাউস, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ১৮২০ সালে এই লাইটহাইসটি তৈরি হয়। যে কেয়ারটেকার মারা গিয়েছেন তার সিগার জ্বলার গন্ধের মতো, মহিলার আর্তনাদ, উপর থেকে কোনও মহিলার তাকিয়ে থাকা একাধিক অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন অনেকে।


রাম ইন, ইংল্যান্ড পাপাত্মার ত্যাগ এবং হিংসাত্মক কাণ্ডকারখানার কাহিনী প্রচলন রয়েছে এই পুরাতন রাম ইন-এ। এই ইনের মালিক নিজে বলেছেন, প্রথম রাতেই কোনও এক অলৌকিক শক্তি তাঁকে বিছানা থেকে টেনে তুলে এনে হল ঘরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।




Thursday, November 10, 2016

Monday, November 7, 2016

Outsourcing এর কিছু সাইট যা দিয়ে সহজে ইনকাম করতে পারেন ..



ইন্টারনেট  ছোট ছোট কাজ করে কিছু টাকা উপার্জনের কিছু সাইট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সামনে।  upwork, freelancer ছাড়া ও কিছু সাইট আছে যে গুলো তে আপনি ছোট ছোট কাজ করতে পারেন, income ও মন্ধ আসবে না। এই গুলো তো বিট ও হয় কম ।যারা Outsourcing   এ নতুন, বা মাত্র Outsourcing শুরু করতে ছাচ্ছেন তারা এই সাইট গুলো তে ট্রায় করতে পারেন । অনেকেই এই সাইট গুলোর নাম আগে থেকেই জানেন। যারা জানেন না তাদের জন্য এই লিখা।

  • microworkers.comএই সাইটটি অনেক জনপ্রিয়। কাজ করার সাত দিনের মাঝে আপনার টাকা হয়ে যাবে। একাধিক একাউন্ট করা যাবে না। নয় ডলারের বেশি হলে পেপালপায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
  • shorttask.comএই সাইটটি কার্যক্রম অনেক ভালো। একাধিক একাউন্ট করা যাবে না। দশ ডলারের বেশি হলে পেপাল দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
  • minuteworkers.comএই সাইটটি ভালো সাইট হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। রেফারেল দিলে পাচ সেন্ট পাবেন ও আপনার রেফারার যদি একটি কাজ সফলভাবে শেষ করেন তবে দশ সেন্ট পাবেন। দুই ডলারের বেশি হলে ১০% ফী দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। তবে দশ ডলারের বেশি হলে কোনো ফী দিতে হবে না। পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
  • microtoilers.comএই সাইটটিতে একাউন্ট করার সাথে সাথে এক ডলার পাবেন। এই সাইট  রেফারেল এর বেবস্থা আছে। প্রথমবার টাকা তুলতে পচিশ ডলার বেশি হতে হবে। এরপর নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। (তবে এই সাইটটিতে আমি কখনো কাজ করিনি)
  • jobboy.comএই সাইটটিতে একাউন্ট করার সাথে সাথে এক ডলার পাবেন। এই সাইট  রেফারেল এর বেবস্থা আছে। দশ ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
  • microjob.coএই সাইটটিতে আপনি নিজের প্রোফাইল তৈরী করে আপনার কাজের বর্ণনা দিতে পারবেন পাশাপাশি ছোট ছোট কাজ করে কিছু টাকা উপার্জন করতে পারবেন। পেপালপায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। কিন্তু টাকা পাঠাতে ত্রিশ কর্ম দিবস সময় নিয়ে থাকে।
  • centworkers.comএই সাইটটিতে আপনি রেফারেল দিলে দশ সেন্ট পাবেন ও আপনার রেফারার যদি কাজ করে একশ ডলার উপার্জন করেন তবে এক ডলার পঞ্চাশ সেন্ট পাবেন। পাচ ডলারের বেশি হলে পেপালপায়জা ও মানিবুকের্স দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
  • pointdollars.comএই সাইট  রেফারেল এর বেবস্থা আছে। প্রথমবার টাকা তুলতে পচিশ ডলার বেশি হতে হবে। এরপর নয় ডলারের বেশি হলে পেপাল ও পায়জা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। (তবে এই সাইটটিতে আমি কখনো কাজ করিনি)
  • deshiworker.comএটি একটি বাংলাদেশী সাইট। এর মান ঠিক রাখতে এডমিনগণ যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যারা ইংলিশ একটু কম পারেনতারা এই সাইটটিতে চেষ্টা করতে পারেন। এই সাইটটি সম্পর্কে বেশি কিছু বলছি নাকারণ সাইটটি বাংলায়। তাই কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হবার কথা না।
বিঃদ্রঃ কার কার কাছ থেকে অভিযোগ শুনা জায যে Microworkers এর পুরানো একাউন্ট থেকে টাকা তোলা যায়কিন্তু যারা নতুন (টাকা তোলার জন্য পিন দেয়া হয় )যারা এই পিন এখনো ও পাইনাই, তাদের নাকি নতুন করে পিন দেওয়া বন্ধ আছে । সুতরাং পিন না পেলে টাকা তোলা যাবে না। এটি সাময়িক নাকি দীর্ঘ দিনের জন্যতা জানা জায নি  এমন ও অভিযোগ শুনা জাই যেMinuteWorker সাইটটিও থেকে ও নাকি ঠিক মত টাকা তোলা যাচ্ছে না। তাই এই বিষয়টি যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে সবাইকে বলবোদয়া করে আপনারাও সতর্ক থাকবেন।


আজকে নিয়ে এলাম বাংলায় কিছু টেকনোলজি বইয়ের ডাউনলোড লিঙ্ক। ডাউনলোড করে নিন ওয়েব ডেভেলপিং, এসইও, ফরেক্স, ওয়ার্ডপ্রেস থীম প্লাগীন ডেভেলপমেন্ট, ড্রিমোয়েভার, পিএইচপি, মাইএসকিউয়েল, জুমলা, এইচটিএমএল ৫ এর উপর বই। এছাড়াও আছে ওডেস্ক-ফ্রিলান্সিং এর উপর বই। নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলুন সাফল্য আসবেই
১। CSS-Bangla-Book-free-download.pdf  ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে
৪। wordpress-theme-plugins-development ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে
৫। search-engine-optimization-bangla  ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে
৬। odesk-outsourcing-bangla-tutorial ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে
৭। freelancing-outsouricng-bangla  ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে
৮। Marcomedia-Dreamwaver-Bangla  ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে
৯। php-mysql-bangla-e-book-tutorial-downloa…ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে
১০। free-bangla-forex-trading-e-book ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে
১১। html-5 -bangla-e-book-tutorial.pdf ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে
নির্দেশনাঃ বইগুলো ডাউনলোড করতে ৪-৫ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন তারপর স্কিপ অ্যাড বাটনে ক্লীক করুন
ইন্ডিশেয়ার থেকে ডাউনলোড করার নিয়ম এখানে

Sunday, November 6, 2016

ফাইল আপলোড না করে শেয়ার ক্যাশ দিয়ে কীভাবে সহজে আয় করবেন? [সিক্রেট ট্রিকস]



শেয়ার ক্যাশে যারা ব্যর্থ হচ্ছেন তাদের জন্য এই লেখা; অবশ্য সবাই-ই পড়তে পারেন…

আবার বেশ কয়েক জন আমাকে পার্সোনালি নক করে জানিয়েছেন তারা একেবারেই পারছেন না। ব্যাপারটা ক্লিয়ার বুঝতে পারছেন না এবং ফাইল আপলোড করা বেশ ঝামেলা। বাংলাদেশের নেট স্পীড পরিপ্রেক্ষিতে অনেক ঝামেলা হয় ফাইল আপলোড করতে গেলে।
আপনারা যারা শুরু করতে পারছেন না, তাদের জন্যই আজকের এই টিউটোরিয়াল। আমি আজকে শেয়ার ক্যাশ-এর দু’টো সিক্রেট ট্রিকস জানাবো আপনাদের। আশা করি এগুলো কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন এখন। কারণ এরচেয়ে আর কোনো সহজ ওয়ে আছে বলে আমার জানা নেই।

শেয়ার ক্যাশের সিক্রেট দু’টি ট্রিকস হচ্ছে-

১. কোনো ফাইল আপলোড না করে কীভাবে ইনকাম করবেন? এবং
২. ফেসবুক কাজে লাগিয়ে কীভাবে ইনকাম করবেন?
তো চলুন জেনে নেয়া যাক এই দু’টো হিডেন ট্রিকস। প্রথমেই ফাইল আপলোড না করে কীভাবে ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে বলি:

ফাইল আপলোড ছাড়া পদ্ধতি

এই পদ্ধতিটা শেয়ার ক্যাশে নতুন। তাই অনেকেই জানেন না এখনো। সেটা হচ্ছে- শেয়ার ক্যাশ এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট (Exclusive Content). শেয়ার ক্যাশে লগিন করার পর ড্যাশবোর্ডে বাম পাশের মেনুতে এই অপশনটি পাবেন। এখানে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন সফটওয়ার, ইবুকস এবং গেম গাইডস। এগুলো হচ্ছে শেয়ার ক্যাশের প্রি-আপলোডেড ফাইল। সফটওয়্যার, গেম এবং ইবুকস মিলে প্রায় বিশ হাজার ফাইল আছে এখানে। যেগুলো আমাদের নিত্যদিনের ব্যবহার্য সফটওয়ার এবং প্রয়োজনীয় বই। যে কারও এগুলো কাজে লাগে। তাই এগুলোর কনভার্টস খুব ভালো।
এই ফাইলগুলো আপনি আপনার একাউন্টে এড করে নিতে পারেন মাত্র একটা ক্লিক করে। এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট-এ ক্লিক করলে ফাইলগুলো দেখতে পাবেন। প্রথমে সফটওয়ার বা ইবুকস-এর নাম তারপর ফাইলের সাইজ এবং পরের অপশনটি হচ্ছে একশন। এখান থেকে ফাইল সিলেক্ট করার পর একেবারে ডান পাশের প্লাস (+) চিহ্নের উপর ক্লিক করলে নিমিষেই আপনার ফাইল ম্যানেজারে যুক্ত হবে ফাইলটি। তখন ঐ ফাইলটি হবে আপনার। এবং ঐ লিংক থেকে কেউ ডাউনলোড করলে আপনার লিড জেনারেট হবে এবং আপনি পেমেন্ট পাবেন।
তো বন্ধুরা, সুতরাং আশা করা যায় ফাইল আপলোডের ঝামেলা আপনাদের নিরসন হয়েছে। এখন ধুম মার্কেটিং শুরু করুন। প্রতিদিন ২০/৩০ ডলার ইনকাম করা আসলে খুব কঠিন কিছু না। বেস্ট অব লাক!

শেয়ার ক্যাশ + ফেসবুক = সহজ এবং বিগ ইনকাম !

আমাদের চোখের সামনেই অনেক ট্রিকস রয়েছে সহজ ইনকাম করার কিন্তু কারও নজরেই তেমন পড়ে না। চাইলেই সেসব ট্রিকসগুলো কাজে লাগিয়ে আপনার জীবনধারা পাল্টে ফেলতে পারেন সহজে। কীভাবে? চলুন জানা যাক-
আমি কয়েক দিন আগে একটা পোস্ট লিখেছিলাম: ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে ইনকাম করবেন? লেখাটি পড়ে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। আবার বেশ কয়েকজন জানতে চেয়েছেন এটা কি আদৌ সত্যি কিনা? সত্যি কিনা সেটা কয়েকজন ইতোমধ্যে প্রমাণও করে ফেলেছেন। কারন তারা কাজ পাওয়া শুরু করেছেন।
একজন জানতে চেয়েছেন- তার একটা ফেসবুক ফ্যানপেজ আছে যেখানে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার লাইক/ফ্যান আছে। তিনি এটা কীভাবে কাজে লাগবেন? চলুন উনার প্রশ্নের উত্তরটা দিতে দিতে আপনাদেরকেও ট্রিকসটা শিখিয়ে দিই।
স্টেপগুলো দেখুন:
  1. আপনি এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট থেকে ৩০টা ফাইল আপনার ফাইল ম্যানেজারে এড করলেন। অর্থাৎ আপনার আছে ৩০টা ফাইলের লিংক।
  2. আর আগে থেকেই আপনার আছে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার ফ্যানের একটা ফেসবুক ফ্যান পেজ। কম-বেশি হতে পারে। হিসেবের সুবিধা এবং প্রশ্নের উত্তরের জন্য এই সংখ্যাটাই ধরা হলো।
  3. আপনি কাজ শুরু করলেন এভাবে: প্রতিদিন একটা লিংক এবং ঐ লিংকে কী ধরণের সফটওয়ার আছে এবং সফটওয়ারের বর্ণনা, কাজ, ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি ১০০-২০০ ওয়ার্ডে লিখে আপনার ঐ ফ্যান পেজে পোস্ট করুন।
  4. যদি ঐ গ্রুপের মাত্র এক ভাগ লোকও ঐ লিংকে ক্লিক করে এবং যদি ঐ এক ভাগের চার ভাগের এক ভাগও সফটওয়ারটি ডাউনলোড করে তাহলে ফলাফল কী দাড়ায় সেটা হিসেব করি চলুন-
  5. ঐ ফ্যানপেজে ফ্যান আছে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার। এর এক ভাগ হচ্ছে চৌদ্দশ। চৌদ্দশতের চার ভাগের এক ভাগ হচ্ছে তিনশ পঞ্চাশ। অর্থাৎ আপনার সফটওয়ারটি একদিনে সর্বনিম্ন ডাউনলোড হলো তিনশ পঞ্চাশ বার। তাহলে ফলাফল কী হলো?
  6. আমরা জানি শেয়ার ক্যাশ প্রতি ডাউনলোডের জন্য এক ডলার থেকে বিশ ডলার দেয়। আমরা যদি সর্বনিম্নটাই হিসেব করি অর্থাৎ প্রতি ডাউনলোডের জন্য আমরা যদি এক ডলার হিসেব করি তাহলে দেখুন আপনি ঐ ফ্যান পেজ থেকে প্রতিদিন তিনশ পঞ্চাশ ডলার ইনকাম করতে পারছেন মিনিমাম।
বন্ধুরা, ভেবে বলুন: উপরের হিসেবটি কি আপনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে? নাকি বাস্তব লাগছে? অবশ্যই বাস্তব, তাই না? আর শুনে অবাক হবেন, এভাবেই অনেকে প্রতিদিন হাজার ডলারের বেশি ইনকাম করছে।

শেয়ার ক্যাশ হিডেন ট্রিকস: কেন আপনি শেয়ার ক্যাশে ফেল করছেন এবং শেয়ার ক্যাশ সাকসেসের পরীক্ষিত উপায় কী?



এই লেখাটি শুধু তাদের জন্য- যারা শেয়ার ক্যাশ-এ সাইন আপ করেছেন (যারা সাইন আপ করেননি এখনো তারা আমার এই লেখাটা আগে পড়ে আসুন: পে পার ডাউনলোড মাধ্যমে প্রতিদিন আয় করুন ২৫ থেকে ২৫০ ডলার… আমি আয় করছি আপনিও পারবেন) কিন্তু কাজ করতে পারছেন না কিংবা ফাইল ডাউনলোড করতে প্রবলেম হচ্ছে বা অন্য কোনো সমস্যা। আপনাদের এই সম্যাগুলো দূর করার জন্যই আজকের এই লেখা। আশা করি এই লেখাটি পড়ার পর শেয়ার ক্যাশ সংক্রান্ত আপনাদের সব সমস্যা দূর হবে। তো চলুন জানা যাক শেয়ার ক্যাশ হিডেন ট্রিকসগুলো। যা কাজে লাগিয়ে আমরা খুব সহজেই অন্তত প্রতিদিন যেন ১০ ডলার ইনকাম করতে পারি শুরুতে সেটা শিখি।

একটি কথা: আমার জানামতে শেয়ার ক্যাশ নিয়ে বাংলাতে টিউটোরিয়াল আমি-ই প্রথম লিখেছি। এর আগে এতো সহজ করে কেউ লিখেছে, আমি পাইনি। আপনারা যারা অনলাইনে অনেক পরিশ্রম করছেন কিন্তু আশানুরূপ ইনকাম করতে পারছেন না, শুধুমাত্র আপনাদের কথা বিবেচনা করে আপনাদের জন্য অনেক সময় নিয়ে টিউটোরিয়াল লিখি কোনোরকম বেনিফিট আশা না করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, অনেকেই আমার এই টিউটোরিয়ালগুলো নিজের নাম করে অন্যান্য নামকরা ব্লগে পাবলিশ করছে আমার কোনোরকম ক্রেডিট ছাড়াই। এ কেমন বিচার আপনাদের? যদি ভবিষ্যতে এরা এসব বন্ধ না করে তাহলে হয়তো আমার এই লেখালেখিও বন্ধ হয়ে যাবে। বাদ যাক উপকার। টিউটোরিয়াল না লিখে এই সময়টা অন্য কাজে ব্যয় করলে যথেষ্ট ইনকাম হবে আমার। আমি সত্যিই মর্মামত এসব অসাধু লোকগুলোর আচরণে।।

কেন আপনারা শেয়ার ক্যাশ-এ সফল নন?

হ্যাঁ, প্রথমে এটা আলোচনা করা যাক যে, কেন আপনারা শেয়ার ক্যাশ-এ সফল হতে পারছেন না। আপনাদের ভুলগুলো যদি ধরতে পারেন তাহলে সেগুলো সংশোধন করতে সুবিধা হবে। আপনাদের বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে আমার কাছে যে ব্যাপারগুলো প্রতীয়মান হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
  1. নিজেই নিজের ফাইল ডাউনলোড করার চেষ্টা করছেন, ফলে নিজের একাউন্ট ব্লাক লিস্টেড হচ্ছে।
  2. বাংলাদেশের বন্ধুদের কাছে লিংক দিচ্ছেন ডাউনলোড করার জন্য। ভাবটা এমন: ওরা ডাউনলোড করবে আর আপনি ডলার গুনতে থাকবেন।
  3. বিভিন্ন জনকে লিংক সরবরাহ করছেন এবং কেন ওরা ডাউনলোড করছে না তাই হতাশ হচ্ছেন, রেগে যাচ্ছেন।
  4. ১/২ দিন কাজ করার পরই হতাশ হয়ে যাচ্ছেন। ভাবছেন শেয়ার ক্যাশ একটা ফালতু পদ্ধতি। এটা কাজ করে না।
  5. কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই কাজ করছেন। ঠিক কত টাকা কীভাবে ইনকাম করবেন কিছুই জানেন না।
  6. কোথায় মার্কেটিং করতে হবে সেই সম্পর্কে না জেনে, না বুঝে এবং কোনোরকম চিন্তা-ভাবনা না করেই যত্রতত্র লিংক ছড়িয়ে দিচ্ছেন আর ভাবছেন কেন ডাউনলোড হচ্ছে না?
  7. এবং এরকম আরও কিছু কারণে আপনারা মোটামুটি এখন মিসগাইডেড।
তো আজকের এই লেখা মূলত উপরের এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্যই। আশা করি এগুলো যদি সলিউশন করতে পারেন তাহলেই আপনি শেয়ার ক্যাশের মাধ্যমে মোটামুটি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

শেয়ার ক্যাশ-এ কীভাবে সফল হবো?

আপনি শুনলে অবাক হবেন, শেয়ার ক্যাশে সফলতা পাওয়া সত্যিই সহজ কাজ। এতোটা সহজ যা আপনি ভাবতেও পারবেন না। এবং সগুলোই লিগ্যাল ওয়েতে। কোনোরকম স্প্যামিং করতে হবে না, কিছু না। তবু স্মার্ট এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন।
কীভাবে?
এভাবে- নিজের উপর আস্থা রেখে একাগ্রতার সাথে কাজ করে গিয়ে। একটা কথা মনে রাখবেন: অনলাইন ইনকাম কোনো শর্টকার্ট ওয়ে নয়। এখানে পরিশ্রম করে টাকা ইনকাম করতে হয়। তবে নিজের মেধা-বুদ্ধি-টেকনিক দ্বারা পরিশ্রম কমিয়ে আনা যায় খুব সহজে। সেই কাজটাই কীভাবে করতে হয় সেটা যদি জানতে পারেন তাহলে আপনার সফলতা কেউ ঠেকাতে পারবে না, ইনশাল্লাহ।

অসাধু পথে নয়, সাধু পথে আসুন…

অনলাইনে কাজ করার জন্য কখনো অসাধু পথে যাবেন না। তাহলে বেশি দূর আগাতে পারবেন না। মুখ থুবড়ে পড়ে যাবেন, ভাই। প্লিজ, এই কাজটা ভুলেও করবেন না। যারা স্প্যামিং করেন তারা কখনোই ভালো কিছু করতে পারবেন না।
সুতরাং অসাধু পথে নয়, সঠিক পথ আছে অনেক। সেগুলোর যেকোনো একটা অবলম্বন করেই আপনি মাসে পাঁচশ’ থেকে এক হাজার ডলার ইজিলি ইনকাম করতে পারেন। তাহলে কেন যাবেন অসাধু পথে?

শেয়ার ক্যাশ সাকসেসের পরীক্ষিত উপায়: শেয়ার ক্যাশ এবং ফেসবুক গ্রুপ পদ্ধতি

আপনি কোন্ ধরণের ফাইল মার্কেটিং করবেন সেটা ঠিক করুন সবার আগে। ধরুন আপনি ইবুক মার্কেটিং করবেন। এবং ইবুকগুলো হচ্ছে কীভাবে অনলাইনে আয় করবেন তার উপর। ওকে, দ্যাটস ফাইন। ২০টা সুন্দর সুন্দর এবং দরকারী অনলাইন আয়ের ইবুক অনলাইন থেকে খুঁজে ডাউনলোড করে নিজের কম্পিউটারের একটা ফোল্ডারে রাখুন। তারপর সেগুলো আপলোড করুন শেয়ার ক্যাশ-এ। শেয়ার ক্যাশ থেকে এই ২০টা ইবুকের ডাউনলোড লিংক এক এক করে নিয়ে একটা নোটপ্যাড-এ রাখুন। প্রতিটিা লিংকের পাশে বইয়ের নাম লিখে রাখুন।
শেয়ারক্যাশ লগ আউট করুন। ওটাতে আর দরকার নেই আপাতত। এবার ফেসবুক ওপেন করুন। লগিন করুন। ৫০ টা মেক মানি অলাইন (Make Money Online) গ্রুপ খুঁজে বের করে ওগুলোতে জয়েন ক্লিক করুন। এপ্রুভ হতে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। প্রতিটা গ্রুপের লিংক আর একটা নোটপ্যাডে সংরক্ষণ করুন।
যে গ্রুপগুলোতে জয়েন করবেন সেগুলো অবশ্যই Australia, Canada, France, New Zealand, United Kingdom বা United States-এর হতে হবে। এবং সেগুলোতে যেন মিনিমাম ১৫০০-২০০০ জন মেম্বার থাকে। ৫০টা গ্রুপে জয়েনিং করার পর অপেক্ষা করুন। এডমিন এপ্রুভ করলে আপনি নোটিফিকেশন পাবেন। নোটিফিকেশন পাওয়ার পর ঐগ্রুপে যান। গ্রুপের লেখাগুলো ভালো করে পড়ুন ২/৪ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে। দেখুন গ্রুপের মেম্বার মূলত কী চাচ্ছে? তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের গঠনমূলক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন।
এভাবে ৫০টা গ্রুপে ৩/৪ দিন একটিভিটি চালান। তারপর শুরু করুন নিজের প্রয়োজনীয়তা মার্কেটিং করার। তবে ফ্ল্যাডিং করবেন না। মার্কেটিং-এর কাজটা দু’ভাবে করতে পারেন- ১. গ্রুপ পোস্ট বা ডক বানিয়ে এবং ২. গ্রুপের বিভিন্ন পোস্টে কমেন্ট করে।
১. গ্রুপ পোস্ট বা ডকস পদ্ধতি: এজন্য আপনার কাছে থাকা ২০টি ইবুক থেকে যেকোনো একটা বাছাই করুন। ঐ ইবুকটা এক নজর দেখুন। তারপর ওটার উপর ১০০-১৫০ ওয়ার্ডসের ছোট্ট একটা রিভিউ লিখুন। রিভিউতে লিখুন বইটাতে কী আছে? কেন সবার বইটা পড়া জরুরি, কী ধরণের বেনিফিট পাবে বই থেকে ইত্যাদি ইত্যাদি লেখার পর নিচে বইটার ডাউনলোড লিংক সংযোজন করুন।
দেখবেন গ্রুপে পোস্ট করার ১/২ ঘণ্টার মধ্যেই এডমিন পোস্টটা এ্রপ্রুভড করে দিয়েছে। এরকম একটি পোস্ট থেকে কী পরিমাণ ডাউনলোড পেতে পারেন জানেন? আপনার ধারণার চেয়েও বেশি। এভাবে প্রতিদিন অনন্ত ১০টা গ্রুপে ১০টা পোস্ট করুন। আর দিন শেষে লগিন করে দেখুন আপনার শেয়ার ক্যাশের আপডেট। অবাক না হয়ে পারবেন না!
২. গ্রুপের পোস্টে কমেন্ট পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে গ্রুপগুলোর বিভিন্ন পোস্টগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। দেখবেন প্রতিটা পোস্টের নিচেই অনেক কমেন্ট আছে। সেই কমেন্টগুলোতে অনেকের অনেক জিজ্ঞাসা আছে। অনেকে আরও জানতে চেয়ে কমেন্ট করেছে। এরকম কমেন্টগুলো দেখে আপনি সেগুলোর রিপ্লাই করবেন এভাবে: তুমি এই ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে পার এই বইটা থেকে। তারপর আপনার বইয়ের ডাউনলোড লিংক দেবেন।
এভাবে প্রতিদিন ১০০-১৫০ কমেন্ট করুন সেই ৫০ টা গ্রুপে। আর দেখুন ম্যাজিক!

শেয়ার ক্যাশ-ই প্রকৃত পিপিডি সাইট!

আমাকে অনেকেই শেয়ার ক্যাশ-এর অল্টারনেট সাইটের কথা লিখতে বলে। অনেক আছে। ইচ্ছে করলেই লিখতে পারি। কিন্তু বিশ্বাস করুন; আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলে জানি, এরচেয়ে ট্রাস্টেড সাইট আর নেই এই ক্ষেত্রে। সুতরাং ধৈর্য ধরে সঠিক প্ল্যান দাড়া করিয়ে এখানেই লেগে থাকুন। ইনশাল্লাহ সফলতা আসবেই। অন্যান্য পিপিডি সাইটে যেখানে একটা ডাউনলোডের জন্য দিয়ে থাকে মাত্র ২৫ সেন্ট সেখানে শেয়ার ক্যাশ ৮/৯ ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে। একবার আমি ফ্রান্স থেকে একটা ফাইল ডাউনলোডের জন্য পেয়েছিলাম ১১.৬১ ডলার। তাছাড়া উপরে যেসব কান্ট্রিগুলোর নাম দিয়েছি সেগুলো থেকে ডাউনলোড হলেও আপনি গড়পরতা ৩/৪ ডলার করে পাবেন প্রতি ডাউনলোডের জন্য।
সুতরাং ধৈর্য ধরে শেয়ার ক্যাশ-এ কাজ করুন। সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ।

অনুরোধ! একটি অনুরোধ…

অনুগ্রহ করে ফেসবুকে আমাকে কেউ পার্সোনালি প্রশ্ন করবেন না। যেকোনো সমস্যার জন্য নিচে কমেন্ট করুন। ইনশাল্লাহ আপনার প্রতিটা সমস্যার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবো। ফেসবুকে উত্তর না দিয়ে এখানে দিলে দুটো বেনিফিট- ১. আপনি আপনার সমাধান পেলেন এবং ২. অন্য আরও কেউও যদি সেইম সমস্যায় পড়ে তাহলে তিনিও উপকৃত হলেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
তো বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। অল দ্য বেস্ট!